কলকাতা: দুর্গা পুজো প্রতি বছর দেবী দুর্গাকে বিভিন্ন উপায়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে অশুভশক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলের জয় উদযাপন করে। এ বছর এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান ‘পুজোর রং’(‘কালার্স অফ পুজো’)-র মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন নায়কের নিঃশর্ত প্রচেষ্টাকে স্বীকার করে, যারা নিস্বার্থভাবে তাদের সময় ও শক্তি ব্যয় করেন অভাবী মানুষদের সাহায্য করতে এবং আনন্দের রং ছড়িয়ে দিতে।
তাদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ, এশিয়ান পেইন্টস এই পাঁচজন সাহসী হৃদয়কে কলকাতার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ‘পুজোর রং’ সম্মানিত করেছে। সমাজে তাদের প্রচেষ্টা এবং অবদানের মাধ্যমেএই নায়করা দুর্গাপুজো উদযাপনকে আরও অর্থবহ এবং বিশেষ করে তোলে।
এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মানের উদ্যোগে ‘পুজোর রং’ (‘কালার্স অফ পুজো’) বিদ্যমান সম্পত্তিতে একটি হৃদয়গ্রাহী নতুন সংযোজন। শেড-কার্ড উৎসর্গ হল এশিয়ান পেইন্টস সংগ্রহ থেকে শেডগুলির একটি বাছাই করা নির্বাচন যা এই পাঁচজন চ্যাম্পিয়ন ব্যক্তির নাম এবং তাদের পশ্চিমবঙ্গের ব্যতিক্রমী গল্পগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি এই মানুষগুলির উৎসর্গীকরণ, মানবতা এবং এগুলিরপুনরুদ্ধারের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ‘পুজোর রং’-এর সঙ্গে এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মানপ্রদর্শন করে যে প্রতিটি গল্পই গুরুত্বপূর্ণ, এবং মানুষের এই গল্পগুলিতে অসংখ্য রং রয়েছে। অনুষ্ঠানটিতে পাঁচজন নায়ক – বাপি দা, ঝুমকি ব্যানার্জি, ডঃ অনামিত্র বারিক, শ্রাবস্তী ঘোষ এবং নীলাঞ্জন মিশ্র সম্মানিত হন।
প্রত্যেক ব্যক্তির গল্প সকলের সাথে একটি গভীর সংযোগ স্থাপন করেছে। নীচে পাঁচজন নায়কের কিছু বিবরণ দেওয়া হল যারা তাদের প্রচেষ্টা এবং সমাজে অবদানের মাধ্যমে প্রত্যেকের হৃদয় স্পর্শ করেছেন:
- বাপি দা, “কলকাতার গ্রীন ট্যাক্সি ম্যান”বলে পরিচিত, কারণ তার ট্যাক্সির ছাদের উপরে বাগান রয়েছে যা তিনি স্বয়ং-তৈরি করেছেন, কোভিড-১৯ রোগীদের সাহায্য করেছিলেন যারা হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোন যানবাহন খুঁজে পেতে লড়াই করছিলেন। তার সম্মানে লাইম গ্রোভ রংএর “বাপি সবুজ” নামকরণ করা হয়েছে।
- কলকাতার রেড লাইট এলাকায় বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষা ও কল্যাণে অবদানকারী সমাজকর্মী ঝুমকি ব্যানার্জির নামানুসারে ওয়াইল্ড পিংকের শেডের “গলাপী ঝুমকি” নামকরণ করা হয়েছে। মহামারী চলাকালীন, ঝুমকি একটি স্কুলের ঘরকে একটি মূল রান্নাঘরে পরিণত করার মাধ্যমে নিয়মিত রেশন যাতে এই বাচ্চাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছায়তা নিশ্চিত করেছিলেন এবং বাচ্চাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং করেন।
- ডঃ অনামিত্র বারিক যিনি সাত মাসের ব্যবধানে কোভিড-১৯ আক্রমণে দুবার মারাত্মকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও, প্রতিবারই তার রোগীদের নিরলসভাবে সেবা করার জন্য শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছিলেন। তার অধ্যবসায়কে সাধুবাদ জানাতে রঙের ক্রিমসন ডেপ্থ রং কে “অনামিত্র লাল” বলা হয়।
- শ্রাবস্তী ঘোষের নামানুসারে, মিড-ডে হল সেই শেড যাকে এখন “শ্রাবস্তী হলুদ” বলা হয়,যিনি এই কঠিন সময়ে বয়স্ক এবংজীবিকা হারিয়েছেএমন মানুষদের সাহায্য করার জন্য ‘কোভিড কেয়ার কিচেন সার্ভিসেস’ গঠন করেছিলেন।
- সুন্দরবনের সামাজ কর্মী, নীলাঞ্জন মিশ্রের নামানুসারে হালকা নীল এর নাম রাখা হয়েছে “নীলাঞ্জন নীল” মহামারী চলাকালীন যখন সুপার সাইক্লোন আম্ফান সুন্দরবন এবং এর স্থানীয়দের উপর প্রভাব ফেলেছিলতার প্রচেষ্টাকে স্বীকার করার জন্য। তিনি ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দ্বীপে ২০০০+ পরিবারের কাছে কয়েক মাস ধরে রেশনপৌঁছেছেন, চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থা করেছেন, দ্বীপজুড়ে ৩০০+ জলাশয় পরিষ্কার এবং পুনরায় স্থাপন করেছেন যা লবণাক্ত জলের অনুপ্রবেশের কারণে ব্যবহারেরঅযোগ্য হয়ে পড়েছিল।
‘পুজোর রং’ ‘এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান পিপল অফ পুজো’ – এর একটি সম্প্রসারণ, একটি অর্থপূর্ণ উদ্যোগ যা২০১৬ থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের এবং তাদের নিস্বার্থতা এবং বীরত্বের অসাধারণ গল্পগুলির প্রশংসা করে আসছে।