কলকাতা: বীরভূম অঞ্চলে ‘সকলের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা’র প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে, বীরভূমের সিউড়িতে হরিপুর ধাম, চন্দ্রপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ আনুষ্ঠানিকভাবে সৎসঙ্গ মিশন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করল। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ হল একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট যা শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শিষ্য বিভাস চন্দ্র অধিকারী দ্বারা গঠিত। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, এক প্রেস রিলিজ অনুযায়ী।
শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার এবং বীরভূমকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, হরিপুর ধামে`র ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্য উদ্যোগগুলির সঙ্গে তপোবন বিদ্যালয়, ঋষি শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয়, পুরুষোত্তম ফার্মা ও রিটেল চেইন, সৎসঙ্গ মিশন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মত অন্যান্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও হয়।
২০০ একর এলাকা জুড়ে ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তৈরি হতে চলেছে সৎসঙ্গ মিশন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সমগ্র প্রকল্পটি পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হবে৷ প্রকল্পগুলির লক্ষ্য, বীরভূম অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উন্নয়ন করা। এটি শুধুমাত্র বীরভূমের সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা এনে দিতে সাহায্যই করবে না, বরং এটি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এটির লক্ষ্য, এই এলাকার গ্রামীণ জনগণকে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মানুষদের জন্যই নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মানুষদেরও এটি সাহায্য করবে।
সৎসঙ্গ মিশন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পগুলি হল: শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র তপোবন বিদ্যালয় (শিশু)- বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র তপোবন বিদ্যালয় (ইংরেজি মাধ্যম), ঋষি শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী মন্দির – ডঃ প্রচেতারঞ্জন চক্রবর্তী, মাতা মনমোহিনী আধ্যাত্মিক আবাস – গেস্ট হাউস, পুরুষোত্তম আয়ুর্বেদ অ্যাপ লঞ্চ, পুরুষোত্তম ফার্মা ও রিটেল চেইন-এর ওয়েবসাইট লঞ্চ, সৎসঙ্গ মিশন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, সৎসঙ্গ মিশন গোসালা এবং ওপিডি ও টেলিমেডিসিন।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ-এর চেয়ারম্যান বিভাস চন্দ্র অধিকারী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, মানবতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিষয়। আমাদের সংস্থা মনে করে যে সামাজিক দায়বদ্ধতা কেবল শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখে দেওয়া উচিত নয়। সমাজের উন্নতির জন্য আমাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পকে উৎসাহিত করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হল, মানবজাতির সেবা করা, শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শকে অনুসরণ করা এবং শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র মানবজাতি সম্পর্কে, জীবনযাপনের ধরণ, একজন মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তাঁর যে ভাবনা চিন্তা`র কথা বাণী হিসেবে আমাদের সামনে রেখেছেন, সেগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ-এর চেয়ারম্যান বিভাস চন্দ্র অধিকারী, জিএসবি গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা গৌরব কুমার সরকার এবং ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ মিশন সাধনপীঠ-এর প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট এস ব্যানার্জি। এই ক্ষেত্রে বিশাল দক্ষতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টিম জিএসবি এই অঞ্চলে উন্নয়ন ঘটাতে এবং সমাজকে সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে সাহায্য করতে ট্রাস্টের সঙ্গে কাজ করে চলেছে।